আগে ভাবতাম কাউকে খুন করতে কেমন লাগে ? যদি কাউকে খুন করতে পারতাম । আহ আভবনাটা ভাবনাতেই ছিল । যানতাম এমন ভাবনা কখনও পূরণ হয় না
কিন্তু সময়ের বিবর্তনে কত কিছুইনা ঘটে । এবার মনে হচ্ছে আমার ইচ্ছাটা পূরণ হওয়ার একটা চান্স আসছে । তবে এখনও জানি না কাকে খুন করব । ভেবেও পাচ্ছিনা খুন করার মত আমার কোন শত্রু আছে কিনা । তাই ভাবছি ভাড়ায় কাউকে খুন করব । আমাগো রাজনৈতিক নেতাদের অনেক শত্রু । তারা চাইলেও অনেককেই খুন করতে পারেন না । তাই ভাবতাছি তাদের খুন করার কাজটা আমিই করে দিমু । চামে আমার ইচ্ছাটাও পূরণ হইল
কি ভাবছেন ? আমি পাগল ? নাহ । সুস্থ মস্তিষ্কে সিদ্ধান্ত নিছি । খুন আমি করবই । আর ফাঁসির ভয় ? হা হা হা । আমাকে ফাঁসি দিবে কে ? মহামান্য আদালত ? খিক খিকজ্জ । কথায় আছে বাপেরও বাপ আছে । আরে সর্বোচ্চ আদালতেরও বাপ আছে । কেডা ?? আমাগো অলস রাষ্ট্রপতি..!!
যে নেতাই আমারে দিয়া খুন করাক শর্ত একটাই । ক্ষমতায় গেলে অথর্ব রাষ্ট্রপতি দিয়া আমারে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করতে হবে , আর কিছুই না
আমাদের দেশের অতীত রাষ্ট্রপতিদের ক্ষমার মাহাত্ব দেখে আমি ভয় ডর ভুলে খুন করার সিদ্ধান্ত নিছি
ইনি ড: ইয়াজউদ্দিন আহমেদ । হাওয়া থেকে পাওয়া নির্দেশে ক্ষমা করেছিলেন খুনি মহিউদ্দিন ঝিন্টুকে । ওরে আমার আদেশ পালনকারীরে
বয়োবৃদ্ধ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান । খুনের বিপ্লব ঘটানো বিপ্লবকে ক্ষমা ঘোষণাকারী । মহান বিপ্লবী
জি ঠিক ধরেছেন , ইনি আমাগো ভবিষ্যত রাষ্ট্রপতি । ইনি স্বঘোষিত ভবিষ্যত খুনী মেঘ কান্যবে ক্ষমা ঘোষণা করবে
এইযে দেখেন ভয় ডরহীন মেঘ কাব্য নিশ্চিন্তে কেমনে বিড়ি টানতাছে
হাহ হা, কি বুঝলেন ?