লেবেল

নিজেকে এখনও গুছিয়ে নিতে পারিনি

১৫ অক্টোবর, ২০১১

আমার পর্ণবেলা , কঠিনভাবে ১৮+ । বাচ্চারা দূরে থাকো

গতপোস্টের পর আজ আবার "আমার পর্ণবেলা" কৈশোরকালে ঘটে যাওয়া কিছু মজার ঘটনা নিয়ে লেখা । ১৮+ একটা পোস্ট । অবশ্যই নিজ দায়িত্বে পড়বেন
"
"
"
"
"
"

চটি কাহিনী ১: ডিসেম্বর মাস । স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ । স্কুল বন্ধ । অনানুষ্ঠানিকভাবে ক্লাশ এইটে উঠেছি । স্কুল খোলার আগেই আমরা কোচিং এ যথারীতি এইটের ক্লাশ শুরু করে দিয়েছি । যেহেতু বন্ধ তাই স্টুডেন্ট কম ছিল । আর তাই আমরা দুই শিফট মিলে শুধু সকাল বেলা কোচিং করতাম । সেখানেই দেখা স্কুলের ডে শিফটের বন্ধুদের সাথে । ডে শিফটের বন্ধুরা কেমন তা আগেই পোস্টেই পড়েছেন । যাই হোক ডিসেম্বরের সেই ২০ টি দিন ছিল একদম স্বপ্নের মত । কি করিনি সেই ২০ দিন । এর মধ্যেই একদিন এক বন্ধু এসেই ঘোষণা করল । আজ আনছি , জিনিস একখান । বুঝতে বাকি রইল না জিনিস কি । কিন্তু আসলে আমি তখনও বুঝিনি কি জিনিস । ক্লাশে বের করা যাবেনা । তাই অপেক্ষা করছি ছুটি হওয়ার । ছুটি হওয়ার পর বন্ধু বের যা বের করল তা আমার কল্পনাতেও ছিল না । একদম বই । চটি বই । মনে মনে বললাম এই তাহলে সেই বিখ্যাত চটি । যাই হোক আমরা কয়েকজন বন্ধু সেটা ধার নেয়ার জন্য মুটামুটি প্রতিযোগিতা শুরু করে দিলাম । কিন্তু টাকার কাছে সবই নস্যি । আমি ঘোষণা দিলাম আজ আমাকে ধার দিলে পাঁচ টাকা দেব । সেই জমানায় পাঁচ টাকা অনেক । তাই বই আমিই পেলাম । আমি উত্তেজনার সাগরে ভাসছি । এইবার আসলেই একখান জিনিস পড়ব ।

দুরুদুরু বুকে বাসায় গেলাম । বইটা হাতে নিতে আর তর সইছে না । সুযোগ খুঁজছি কখন পড়ব বলে । সুযোগ আর পাইনা । এদিকে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলছে । অবশেষে বুদ্ধি একটা বের হল । ভাবলাম ছাদের গিয়ে পড়ব । দুপুরের পর ছাদে মুটামুটি কেউ যায় না । সো ধরা পরার সম্ভাবনা কম । গিয়ে বসলাম একটা গাছের ছায়ায় । কিছুটা আরালে । ছাদে এলে কেউ আমাকে সরাসরি দেখবে না এমন পজিশনে । এরপর শার্টের নিচ থেকে আস্তে করে বের করে আনলাম বহু কাঙ্খিত সেই জিনিস । বইটার নামটা আমার এখনও মনে আছে "যৌবন জ্বালা" লেখক ছিল মনে হয় "তারাদেশ পান্ডে"। গল্প ছিল পাঁচটা । গল্পের নামগুলা না হয় নাই বললাম । আহ নিবিষ্ট মনে একাগ্রচিত্তে আমি চটি পড়া শুরু করলাম । কখন যে বইয়ের যৌবনের রসে আমিও ডুব দিয়েছি জানি না । খেয়াল তখন যখন আম্মুর চিৎকার কানে এল "দুপুর বেলা ঘুমাবার সময় ছাদের উপর লুকিয়ে লুকিয়ে গল্পের বই পড়া..!! দাঁড়া তোর আব্বু আসুক আজকে "

প্রথমে প্রচন্ড ভয় পেলেও মনে মনে বললাম "আহ শান্তি , আম্মু কিছু বুঝে নাই"


চটি কাহিনী ২: পরিচিত এক বড় ভাইয়ের(এক ক্লাশ সিনিয়র) কাহিনী এটা । উনাকে বলা যায় মোটামুটি চলমান একটা চটি বইয়ের লাইব্রেরী । বিশাল বড় কালেকশন । ব্যাগ ভর্তি শুধু চটি । যতটা না পাঠ্যবই তার দ্বিগুণ চটি বই । স্কুলে রীতিমত হার্টথ্রুব জনপ্রিয় মানুষ । বন্ধুরা চটির জন্য ধরণা দিত । আর সে তার ভাব বারতো । কিন্তু উনি ধার দিতেন( ক্লোজ বড় ভাই তাই আমিও নিতাম । তো একদিনের ঘটনা । উনি স্কুল থেকে বাসায় গেছেন । ব্যাগ রেখে টিভি দেখছেন । এদিকে তার ছোটবোন ক্যালকুলেটর খুজতে ব্যাগে হাত খুলছে । খুলতেই সবগুলো বই হাতে এসে পরল । প্রসংগ উনার ওই বইগুলাতে গল্পের পাশাপাশি রঙিন ছবিও ছিল । সেই জন্যই ওনার ছোটবোন বুঝে ফেলছে । দৌড়ে সোজা ওর আম্মুর কাছে


চটি কাহিনী ৩: এটা ক্লাশ টেনের ঘটনা । আমার এক বন্ধুরঘটনা এটা(নাম উল্লেখ করলাম না) । ওদের বাসা ছিল অন্য এলাকায় । আমাদের এলাকায় ছিল ওর নানা বাড়ি । ওই সময় ও ছিল ওর নান বাড়ি মানে আমাদের এলাকায় । প্রতিদিন আমরা আড্ডা দিতাম ঘুরতাম , ক্রিকেট খেলতাম । এরমধ্যেই হঠাত একদিন আমাকে বলল চল কিনে আনি । আমি বললাম কি ? ও বলল চটি । ততদিনে চটি থেকে ভিডিওতে আপডেট হলেও ভিডিও অ্যাভেইলেবল না হওয়াতে আমরা চটিই বেশি পড়তাম । আমি বললাম এই বাসায় চটি পড়বি কেমনে ?? ও বলল সুযোগ আছে । যা কাহিনী ঘটছে এখন আর ধরা খাওয়ার ভয় করিনা । আমি বললাম কি রকম ?? ও বল আর বলিস না আম্মুর কাছে ধরা খাইছি চটি নিয়া । আমি বললাম কেমনে ?? ও বলল বিছানার নিচে রাখছিলাম । বাইরে থেকে এসে দেখি নাই । যদি আন্টি না হয়ে অন্য কেউ হয়ে থাকে ?? নাহ আম্মু ছাড়া ওই রুমে আর কেউ ঢুকবে না । সো আম্মুই দেখছে । আমি বললাম বাপরে

উল্লেখ্য কয়েকমাস পরই আমার এই বন্ধুটি আমাদের কোচিং ক্লাশমেট এক মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে আসে । কোন উচ্চবাচ্য ছাড়াই ওর ফ্যামিলি সবকিছুই সুন্দরভাবে মেনে নিয়েছিল ।

আহ সব মা বাবাই যদি বুঝতেন ছেলের বিয়ের বয়স হইছে , তাহলে কতই না ভাল হত

প্রথম পর্ব আমার পর্ণবেলা , কঠিনভাবে ১৮+

ফেছবুক পেজ স্বপ্নব্লগ , যেখানে স্বপ্নের শুরু ফেছবুকে আমাদের সঙ্গেই থাকুন

১১ অক্টোবর, ২০১১

আমার পর্ণবেলা , কঠিনভাবে ১৮+ ।

পোস্টের শুরুতেই কিছু কথা বলে নেয়া ভাল । অবশ্যই এটা একটা ১৮ পোস্ট । এবং এই পোস্টে যা আছে তা একটা বয়সে সবার ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে । সো ব্যাপারটা কেউ অন্যভাবে নেবেন না

"
"
"
"
"

১ম অভিজ্ঞতা , ছোট পর্ণ কার্ড দেখাঃ এখনও মনে আছে । সেই ক্লাশ সেভেনের কথা । তখন বন্ধুদের কাছে ছেলে মেয়ে সম্পর্ক নিয়ে কিছু কিছু শুনি । কিন্তু যাই শুনি কিছুই বিশ্বাস করতাম না । আমার মনে হত নাহ এটা হতেই পারে না । মানুষ এত খারাপ হতেই পারেনা । আর বন্ধুরা খেপে যেত এই কথা শুনে । ওরা আমাকে বিশ্বাস করিয়েই ছাড়বে । যেই ভাবা সেই কাজ । পরদিন এক বন্ধু(আমাদের ক্লাশের সবচেয়ে দূরন্ত ও দুষ্ট ছেলে) নিয়ে এল মোক্ষম সেই জিনিস । গুণে গুণে তিনটা কার্ড । আমরা সবাই কিছুটা উত্তেজিত । কখন দেখব কখন দেখব । আমাদের আর তর সইছে না । ৪৫মিনিটের ক্লাশ যেন আর শেষ হতেই চায় না । ক্লাশেও কারও মন বসে না । সবার তখন একটাই চিন্তা কি থাকবে ওই কার্ডে । অবশেষে এল সেই মোক্ষম সময় । ক্লাশের পেছনের বেঞ্চে গিয়ে সবাই বসলাম । এবং ভাগ্য আমাদের এতই ভাল এই ক্লাশটা অফ । স্যার আসেনি । ছাত্ররা যেন গ্যাঞ্জাম না করে এই জন্য ক্লাশ ক্যাপ্টেন সামনে দাঁড়িয়ে নাম লিখতে শুরু করল । কিন্তু কিসের কি । আমরা তখন কার্ড দেখার চিন্তায় বিভোর । এরপর তন্ময় বের করল সেই জিনিস । আরে জিনিসও একখান । আগে কখনওই দেখি নাই । বাপরে সে কি স্ট্যাইল । ৭ জন পোলাপান আমরা তিনটা কার্ড । টানাটানি হুড়োহুড়ি । তবুও দেখার স্বাদ মেটেনা । এদিকে ক্লাশে এমন গ্যাদারিং দেখে ক্লাশ ক্যাপ্টেন অনিক এগিয়ে ঘটনা কি দেখতে । অতি ভদ্র অনিক কার্ড দেখে দুই হাতে মুখে দিয়ে বলে উঠল " হায় আল্লাহ তোমরা এইসব কি দেখ "

ভয়াবহতম দ্বিতীয় ঘটনাঃ তখন ক্লাশ এইটে উঠছি । যাকে বলে পুরোপুরি উন্মাদ আমরা । কার্ড ছাড়া চলছেই না । কয়েকবন্ধু মিলে দরকার হলে কার্ড কিনতাম , তবুও নতুন নতুন কার্ড দেখা চাইই চাই । এভাবে ২০ টার মত কার্ড জমিয়েছিলাম । ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ দেখে বিছানার নিচে রেখে ঘুমাতাম । ভালই কাটছিল দিনগুলো । এরপর একদিন আব্বু আমাকে বলল " তোষক উঠিয়ে ছাদে যাওয়ার সময় তোমার বিছানায় কিছু কার্ড পেয়েছিলাম , আমি সেগুলো ফেলে দিয়েছি , খুজে খুজে আবার হয়রান হইয়ো না "

কার্ড নিয়ে বিচ্চিন্ন কয়েকটা মজার ঘটনাঃ তখনও কার্ডই আমাদের কাছে সেরা পর্ণ । যার কাছেই একটা কার্ড আছে সেই মুটামুটি সকলের কাছে কাংখিত মানুষ । কিন্তু এভাবে সকলের কাছে চেয়ে চেয়ে দেখতে আর ভাল লাগছে না । এবার আমার এক বন্ধু প্ল্যান করল ও নিজেই কয়েকটা কার্ড কিনবে । আর পুরো শহরে বুড়ো চাচার দোকান ছাড়া আর কোথাও কার্ড পাওয়া যায় কিনা কেউই জানি না । তো একদিন স্কুল ছুটির পর আমি আর আমার বন্ধু গেলাম সেই দোকানে । একটা সিনেমা হলের পাশেই ছিল দোকানটা । আর ওইসময়ের সিনেমার কথা কি বলব । এক টিকিটে দুই মুভি । তাই ওই এলাকায় গেলেই কিছুটা ভয় লাগত । কেউ যদি দেখে ফেলে । বুকটা দুরু দুরু করছে । দুরু দুরু বুক নিয়ে ঢুকলাম দোকানে । হাতে নিয়ে কার্ড পছন্দ করছি(আসলে দেখতেছি , সবগুলো তো কেনা সম্ভব না) । হঠাত স্কুল পুড়ুয়া আমাদের বয়সি দুইটা মেয়ে এল । ইস লজ্জায় আমরা শেষ । যাই হোক মেয়ে দুটো দোকানে ঢোকার পর বুড়ো চাচা আমাদের বেরিয়ে যেতে বললেন । রাগ যা লেগেছিল না । শালা মেয়েদের এখনও লুল হয়ে যায় । আমরা দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি । মেয়ে দুটো কার্ড দেখছে । হঠাত একটা মেয়ে বলে উঠল "দেখ এই মেয়েটা বুবস আমারটা থেকে কয়েকগুণ বড় হবে , বলেই খিল খিল হাসি "


আরেকদিনের ঘটনা । এবার পরীক্ষার হলে । পরীক্ষার দিন আমাদের পাশে ক্লাশ নাইনের সিট পরেছে । বড় ভাইরা পরীক্ষা দিচ্ছে । হঠাত আমাদের স্কুলের সবচেয়ে লুল মার্কা স্যার সাইদুর স্যারের চোখ পড়ল এক বড় ভাইয়ের মানিব্যাগের দিকে । ব্যাগটা ফুলে প্রায় ঢোল । স্যার ব্যাগটা চেয়ে নিজের কাছে নিয়ে আপন মনে সব কাজ টাকা বের করে দেখতে লাগল । এর মধ্যে বেড়িয়ে পড়ল সেই জিনিস । স্যারের চোখ তো আর সরে না । গুণে গুণে ৫২ টা কার্ড স্যার অনেক সময় নিয়ে দেখলেন আর হাসলেন । বড় ভাই তো লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে । বেচারা কিছু লিখতেও পারছে না । অবশ্য স্যার ভাল মত কার্ডগুলো ব্যাগে ভরে আবার ফেরত দিল । আর দেয়ার সময় বলল " এত বড় হইছছ এখনও কার্ড দেখস কেন "



এটাও আমাদের ক্লাশরুমের ঘটনা । আমরা ছিলাম মর্নিং শিফট । তাই ডে শফটের ছাত্রদের অনেক কর্মকান্ডই আমাদের ক্লাশে থেকে যেত । প্রতিদিনের মত সেদিনই যথারীতি বসেছি ক্লাশের মাঝখানের বেঞ্চে । বন্ধু মামুন হঠাত করেই বেঞ্চের নিচে পেয়ে গেল একটা কার্ড । সবাই সেটা দেখার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করল । কার্ড ঘুরতে লাগল এক হাত থেকে আরেক হাতে । কিন্তু সবচেয়ে দূর্ভাগা ছিল সজীব । বেচারা যেই কার্ড হাতে নিয়ে দেখতে লাগল । হঠাত স্যারের হুঙ্কার । তোর হাতে কি ? পড়বি তো একেবারে মালির হাতে । স্যার ছিলেন আমাদের আরবী স্যার । কার্ডটা হাতে নিয়েই স্যারের হুঙ্কার "নালায়েক , জানোয়ার ক্লাশের মধ্যে এসব কি " বলেই পেটাতে লাগল বেচারাকে


পরের অংশ আগামীকাল । শুভ রাত্রি

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১

ছেলেদের ফেছবুক স্ট্যাটাস সমগ্র (ছেলেদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থণা পূর্বক)

কয়েকদিন আগে দিয়েছিলাম ফেছবুকে মেয়েদের স্ট্যাটাস । মেয়েদের স্ট্যাটাসের ব্যাপক সাফল্যের পর এবার দিচ্ছি ছেলেদের স্ট্যাটাস ।

সবাই জানেন মেয়েদের হাচি দেয়া স্ট্যাটাসেও কমেন্ট আর লাইকের বন্যা বয়ে যায় । কিন্তু সেখানে ছেলেদের একটা সুন্দর কাব্যিক স্ট্যাটাসও যেন ধূ ধূ মরুভূমি । ছেলেদের স্ট্যাটাস খুঁজতে গিয়ে সেটা আবার নতুন করেন উপলব্ধি করলাম । ছেলেরা মূলত কাব্যিক ছ্যাকা খাওয়া বা কোন গানকে স্ট্যাটাস হিসেবে দিয়ে থাকে । ছাড়া শুধু স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য সাম্প্রতিক কোন ঘটনাকে উল্লেখ করে থাকে , যেন স্ট্যাটাস দিলে ভাত হজম হবেই না । যাই হোক দেখুন ফেছবুকে ছেলেদের স্ট্যাটাস কেমন হয় । লাইক ও কমেন্টার সংখ্যা এই জন্য যে বোঝা যাবে কেন ছেলেদের স্ট্যাটাসকে মরুভূমির সাথে তুলনা করা হয়

ফেছবুকে ছেলেদের স্ট্যাটাস যেমন হয়........



১. এক অন্ধকার কুঠুরিতে আটকে আছি.... বের হবার পথ খুজে চলেছি.... আশাকরছি একদিন সেই দরজার খোজ পাবো.... (২২ মিনিটে লাইক কমেন্ট নাই )

২. আমার একাউন্টে ভূত ঢুকল কিনা বুঝতে পারছিনা , সবকিছু উল্টাপাল্টা লাগতেছে.. (১ ঘন্টায় ৩ টা লাইক(১জন কমেন্টাকারী) ২ টা কমেন্ট ) । ভূতই আইব , মাইয়া না

৩. আমি যেমন আমার বন্ধুবান্ধব পচাইতে ভালবাসি, ওরাও আমাকে ইচ্ছামত পচানোর ট্রাই করে ! জয়তু ফ্রেন্ডস..!!! (১ দিনে লাইক পড়ছে ৯টা) এখানেও বন্ধুরা পচাইনাইক্কা

৪. ব্রেকিং নিউজ: আত্মঘাতী এক লোক ভুল করে তার যমজ ভাইকে খুন করে ফেলেছে! (২দিনে লাইক পরছে ৪টা) খুন খারাবিও আজ মানুষকে টানে না

৫. মাঝে মাঝে এটা জানাও পাপ যে " কিভাবে মেয়েদের কাছে টানতে হয় " (২দিনে লাইক পরছে ৬ টা , কমেন্ট ২টা , ১জন লাইককারী কমেন্টে করছে) জানলেই মাইয়ারা লুইস কইব যে

৬. " গাইবনা আর কোন গান তুমি ছাড়া । লিখব না আমি আর তুমিহীনা কবিতা "..(২দিনে লাইক ৫ টা , কমেন্ট ২ টা) যে গান আর কবিতা কেউ হুনেনা তা লিইখ্যা কি লাভ


এই ব্লগের ফেছবুক পেজ স্বপ্নব্লগ , যেখানে স্বপ্নের শুরু

২৬ আগস্ট, ২০১১

ফেছবুকের মজার কিছু রাজনৈতিক স্ট্যাটাস । না দেখলেই মিস


১. যাত্রীদের বিড়ম্বনার জন্য জোট সরকার দায়ী : যোগাযোগমন্ত্রী
"
"
"
"
"
"
"
লোকটাকে আমার স্যালূট করতে ইচ্ছে করছে । এতদিনে বেটার বুদ্ধি খুলছে । ব্যার্থতা ঢাকার জন্য যে বিরোধী দলের উপর দোষ চাপানোর নিয়ম সেটা উনি এতদিনে বুঝলেন । জয়তু আবুল

সরি মাননীয় হাইকোর্ট । আমি সত্যি দুঃখিত । কিন্তু কোন উপায় ছিল না স্ট্যাটাসটা না দিয়ে :-*:-*


২. ঈদের আগেই সব রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে , বলেছেন মাননীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী..!!
"
"
"
"
"
কিন্তু সমস্যা হল অতীতের চাপাবাজীর জন্য উনার কথা কেউ বিশ্বাস করে না ।

আমি দুঃখিত মাননীয় হাইকোর্ট । দূর্ভোগের শিকার হওয়া এই আমাকে এই স্ট্যাটাসটা দিতেই হল /:)/:)


৩. কটা জিনিস আমার মাথায় ঢুকেনা । আমাদের সরকারের সমস্যাটা কি মাথায় না গদিতে ?? কেন যেন মনে হয় ওই গদিতে বসলেই সবার স্ক্রু ঢিলা হয়ে যায় ।:-*:-*


৪. ঘরে ঘরে হারিকেন ব্যবহার করুন । বিদ্যুৎ বাঁচান । বিদ্যুৎ রাষ্ট্রপতি , প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের সম্পদ

হাইকোর্ট না দেখলেই হল :P:P


৫. মহাজোটের শরিক ও নিজের দলের নেতাদের দাবির মুখে পদত্যাগ করবেন কি না, জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা করতে হলে আগে আমাকে ভাবতে হবে। যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ কী মনে করেন। পাশাপাশি আমার নিয়োগকর্তা কী বলেন।
"
"
বলি জনগণ যদি জানত মন্ত্রী হইয়া আপনি এমন নির্বোধের মত কাম করবেন , তাইলে ভুলেও তারা এত বড় ভুলটা করত না

হাইকোর্টের রিস্ক থাকতেও স্ট্যাটাসটা দিলাম ;);)


৬. অশিক্ষিত চালকদের আর কি দোষ । অশিক্ষিত মন্ত্রীরা তো অশিক্ষিতদেরই লাইসেন্স দিবে তাই না ??
"
"
"
স্ট্যাটাসটা ভয়ে ভয়ে দেয়া । হাইকোর্ট আবার কখন কি না করে বসে


সবগুলো স্ট্যাটাস এই ব্লগের ফেছবুক পেজ স্বপ্নব্লগ , যেখানে স্বপ্নের শুরু পূর্বে প্রকাশিত ।

২৫ আগস্ট, ২০১১

আসুন দেখি ভবিষ্যতে টিভির সংবাদে আর কি কি বিজ্ঞাপন ব্যবহার হতে পারে


প্রিন্ট মিডিয়ার মত ইলেকট্রিক মিডিয়াও এখন বিজ্ঞাপন দ্বারা দখল হয়ে গেছে । অমুক ব্যাংক খেলার সংবাদ , তমুক ব্যাংক আন্তর্জাতিক সংবাদ । বিজ্ঞাপনের বাহার দেখে মনে হয় সংবাদ না বিজ্ঞাপনের সংবাদ শুনছি । কয়দিন পর লাইনে লাইনে বিজ্ঞাপন ঢুকে যাবে । আসুন দেখা যাক ভবিষ্যতে আরও কি কি বিজ্ঞাপন সংবাদ শিরোনাম হতে পারে

১. শুরুতেই দেশের সংবাদ । তাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোন পণ্যের এ্যাড

# আবুল জুট দেশের সংবাদ

২. লাগামহীন বাজারের সংবাদ পরিবেশনের আগে

# খান খান চিনি বাণিজ্য সংবাদ

৩. রাস্তার যে অবস্থা সড়ক দূর্ঘটনা বর্তমানে বাংলা সংবাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ । আর তাই শিরোনাম

# পাজী টায়ার দূর্ঘটনা সংবাদ

৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনার ছেলেরা মারামারি করেছে সেই খবরের বিজ্ঞাপন যুক্ত শিরোনাম

# রুস্তম চাপাতি বিশ্ববিদ্যালয় মারামারির সংবাদ

৫. কোন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিছে সে খবরও আজ বিজ্ঞাপনের দখলে

# মধু মিষ্টি এসএসসির রেজাল্টের সংবাদ

৬. এরপর আসে আন্তর্জাতিক সংবাদ । সেখানে শিরোনামটা দেখুন

# ধানক্ষেত এয়ারলাইনস আন্তর্জাতিক সংবাদ । শুরুতেই লন্ডনের রাস্তায় ইঁদুর উৎপাত নিউজ

৭. অতিগুরুত্বপূর্ণ একটা খবর আবহাওয়ার সংবাদ । তার শিরোনাম

# ডান্ডি ছাড়া ছাতা আবহাওয়ার সংবাদ

৮. খেলার সংবাদ হল খবরের উপসংহার । আর তাই শিরোনাম

# করিম ব্রিকস খেলার সংবাদ । শুরুতেই জাতীয় কুতকুত টুর্ণামেন্টের খবর


কিছু কিছু চ্যানেলে নতুন যোগ হইছে এই উৎপাত । তাই আমিও যোগ করলাম

৯. খবরেও এখন গান বাজনা হয় জানেন তো ?? আর তাই

# ঢুলি তবলা সাংস্কৃতিক সংবাদ । আওয়ামী চ্যানেল হলে জয় বাংলা বাংলার জয় , বিএনপি চ্যানেলে প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ

২১ আগস্ট, ২০১১

নিঃসঙ্গ জীবনের সঙ্গী । শ্রীকান্ত আচার্যের সেই অবিস্মরণীয় গান । ডাউনলোড লিঙ্ক সহ

মূল গানঃ শ্রীকান্ত আচার্য
ডাউনলোড লিঙ্কঃ একা একা এই বেশ থাকা



একা একা এই বেশ থাকা
আলো নেই কোথাও সব মেঘে ঢাকা
ছায়া ছায়া সব আবছায়া
যাকে খোঁজে মন তার নেই দেখা
আনমনে এই একা একা
সব মেঘে ঢাকা , সব মেঘে ঢাকা

আলো ছায়া দিয়ে দিন চলে গেছে
আমাকে শুন্যতা দিয়ে গেছে
উতলা এক হাওয়া ভাসে
সে হাওয়ার সাথী
শুধু নিরবতা , শুধু নিরবতা

কিছু পরে , দূরে আকাশে
চেনা তারারা হয় তো বা দেবে দেখা
বেশ আছি এই একা একা
সব মেঘে ঢাকা , সব মেঘে ঢাকা

বেলা শেষের রঙ নিয়ে
ফেলে আসা গান ভাসে
মনে মনে

কেউ কথা দিল কেউ ব্যাথা দিল
এই মনে তারই ছোয়া রেখে গেল
এই চোখে মেঘ নামে
তাই এ মনে সব সুর
ব্যাথা ভরা , শুধু ব্যাথা ভরা

সোনালী দিন ছিল দিপালী রাত
আজ খুঁজি তবুও পাই না যে দেখা
বেশ আছি এই একা একা
সব মেঘে ঢাকা, সব মেঘে ঢাকা



কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার নাফিস ইফতেখার । গানটা আমার জন্য মিডিয়াফায়ারে আপলোড করার জন্য ধন্যবাদ তাকে

মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস (মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক) পার্ট ফোর

ফেছবুক ব্যবহার করেন আর মেয়েলি স্ট্যাটাস দেখেন নাই এমন কাউরে পাওয়াই যাইব না । সেইসব বিখ্যাত আর কাঙ্খিত স্ট্যাটাস সমগ্র এক করে আপনাদের সামনে হাজির করার দুঃসাহসটা করেই ফেললাম । আজ দেখুন চতুর্থ পর্বঃ

"
"
"
"
ফেসবুকে মেয়েদের স্ট্যটাস ঘুরে ফিরে এক রকম হয়। যেমন ধরেনঃ

১. এখন আমি আচাঁর খাইতেসি আমার নিজের হাতে বানানো খাবা তোমরা?? (কাহিনী কেমুন জানি লাগে)

২. আমার এক কাজিন কে ওর বয় ফ্রেন্ড ধোঁকা দিসে ছেলে গুলোকে জুতা মারা উচিত (পোলাটারে স্যালুট)

৩. দিল্ কে আরমান আশুমে বাহে (এই জাতিয় আউল ফাউল মাথা খারাপ করা হিন্দী গান)

৪. আচ্ছা বন্ধুরা হৃদয় খানের গান তোমাদের কেমন লাগে আমি ওকে দেখলেই পাগল হয়ে যাই (সর্দি খানরে ভালা পাইনা)


৫. আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ডের চাচাতো বোনের নানির পেট খারাপ তোমরা সবাই প্লিজ দোয়া করতে থাক প্লিজ প্লিজ প্লিজ!!


৬. ঘুম থেকে ওঠেই দেখি কারেন্ট নেই । উফ এত্ত গরম । মেজাজটা বিগরাই গেল । বাই দ্য ওয়ে ফ্রেন্ডজ তোমরা কেমন আছ ??

৭. আজ আমার এক বান্ধবী এক চেঙরা ছেলেকে লাইক করে বসেছে । কি ডিসগাস্টিং । মেয়েরা কেন ছেলেদের পছন্দ করবে , ছেলেরাই মেয়েদের পেছনে ঘুরবে
(হ এর জন্যই তরে কোন পোলা বেইল দেয় না)


(বি দ্রঃ প্রতিটি স্ট্যাটাসের পর ১০০ টি পোলাদের আতেল মারকা কমেন্ট থাকা বাধ্যতামূলক)

সবগুলো স্ট্যাটাস ফেছবুক ফান পেজ আমরা যৌতুক নিমুনা কিন্তু কন্যার বাপ কন্যার সুখের জন্য কিছু দিলে আলাদা কথা থেকে
পেজটা তে প্রতিদিনই এমন জোকস দেয়া হয় । লাইক দিতে পারেন


আগের তিন পর্ব এখানে ;);)

আগের দুই পর্ব এখানে

১. মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস (মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক)

২. মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস (মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক) পার্ট টু

৩. মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস(মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক) পার্ট থ্রি

১৯ আগস্ট, ২০১১

মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস(মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক) পার্ট থ্রি

ফেছবুক ব্যবহার করেন আর মেয়েলি স্ট্যাটাস দেখেন নাই এমন কাউরে পাওয়াই যাইব না । সেইসব বিখ্যাত আর কাঙ্খিত স্ট্যাটাস সমগ্র এক করে আপনাদের সামনে হাজির করার দুঃসাহসটা করেই ফেললাম । আজ দেখুন তৃতীয় পর্ব

"
"
"
"
"
"

ফেসবুকে মেয়েদের স্ট্যটাস ঘুরে ফিরে এক রকম হয়। যেমন ধরেনঃ


১. আচ্ছা ছেলেরা নিজেদের কি ভাবে ?? টম ক্রুজ ? অসহ্য লাগে এদেরকে দেখলে (এহ নিজে মনে হয় কেট হোমস)

২. আজ দুজন ছেলেকে ব্লক মারলাম আমার এইসব একটুও ভাল লাগে না ছেলেরা এত খারাপ কেন?

৩. গুড মরনিং ফ্রেন্ডরা নাশতা করেছ?? (তরে কমু ক্যা )

৪. আমাদের নতুন টিচার তা যা ভালো না দেখতে সো সুইট ♥ (এত খুশি হইছ না , শ্যাষে আরেকটা পরিমল হইব )

৫. ফেছবুক ডিএক্টিভ করতেছি । ভাল লাগে না আর এসব বাজে ছেলেদের ঝামেলা (কয়েক ঘন্টা পরই ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন মানে নিজের প্রোফাইলে )

৬. হাই ফ্রেন্ডরা কেমন আছ? অনেক দিন পর ফেসবুকে আসলাম (তো আমরা কি করমু )

৭. আজ একজন বল্লো আমি নাকি কালো হয়ে গেসি আচ্ছা ফ্রেন্ডরা আমি কি সত্যি কালো হয়ে যাসসি ? (ঐশ্বরিয়া আছিলি কবে )


(বি দ্রঃ প্রতিটি স্ট্যাটাসের পর ১০০ টি আতেল মারকা পুলাদের কমেন্ট থাকা বাধ্যতামুলক)


সবগুলো স্ট্যাটাস আমার ফেছবুক ফান পেজ আমরা যৌতুক নিমুনা কিন্তু কন্যার বাপ কন্যার সুখের জন্য কিছু দিলে আলাদা কথা থেকে

পেজটা তে প্রতিদিনই এমন জোকস দেয়া হয় । লাইক দিতে পারেন:):)

এছাড়াও ব্লগ ফ্যান পেজ স্বপ্নব্লগ , যেখানে স্বপ্নের শুরু

আগের দুই পর্ব এখানে

১. মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস (মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক)

২. মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস (মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক) পার্ট টু

১৮ আগস্ট, ২০১১

মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস (মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক) পার্ট টু

কালকের পর আজ আবার । কাল দিয়েছিলাম মেয়েলি স্ট্যাটাস প্রথম পর্ব । আজ দেখুন দ্বিতীয় পর্ব ।


ফেছবুক ব্যবহার করেন আর মেয়েলি স্ট্যাটাস দেখেন নাই এমন কাউরে পাওয়াই যাইব না । সেইসব বিখ্যাত আর কাঙ্খিত স্ট্যাটাস সমগ্র এক করে আপনাদের সামনে হাজির করার দুঃসাহসটা করেই ফেললাম
"
"
"
"
"
"
"


ফেসবুকে মেয়েদের স্ট্যটাস ঘুরে ফিরে এক রকম হয়। যেমন ধরেনঃ

১. উহহ মেসি ছেলেটা কত্ত সুইট! উম্মাহ হ ♥ (মাগার তর ভাগ্যে নাই)

২. আচ্ছা বন্ধুরা আমি কি মোটা হয়ে যাচ্ছি ?( তর জিরো ফিগার ছিল কবে ?)

৩. আমার কোনো বান্ধবী প্রেম করে সুখি হয় নাই তাই আমিও প্রেম করব না (আসলে কেউ এর দিকে তাকায় না )

৪. মন খারাপ, আমার কিছু ভাল লাগেনা কিন্তু কেন ??

৫. আজ বান্ধবীরা মিলে চটপটি আর ফুচকা খাইসি কত মজা লাগলো রে!!!!! (তো আমরা কি করমু)

৬. ছেলেরা কেন বুঝতে চায় না প্রেম করাই জীবনের সব কিছু না (থার্ড টাইম ছ্যাকা খাওয়া মাইয়া )

৭. না না না!! আমার বিড়ালের জ্বর হইসে তোমারা সবাই দুয়া কর প্লিজ (তর নিজের হইল মিলাদ দিতে কইতি তাইনা ?)


(বি দ্রঃ প্রতিটি স্ট্যাটাসের পর ১০০ টি পোলাদের আতেল মারকা কমেন্ট থাকা বাধ্যতামূলক)


সবগুলো স্ট্যাটাস ফেছবুক ফান পেজ আমরা যৌতুক নিমুনা কিন্তু কন্যার বাপ কন্যার সুখের জন্য কিছু দিলে আলাদা কথা এ পূর্বে প্রকাশিত

প্রথম পর্ব এখানে মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস (মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক)


কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না কিন্তু

১৭ আগস্ট, ২০১১

মেয়েদের ফেছবুক স্ট্যাটাস (মেয়ে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক)

ফেছবুক ব্যবহার করেন আর মেয়েলি স্ট্যাটাস দেখেন নাই এমন কাউরে পাওয়াই যাইব না । সেইসব বিখ্যাত আর কাঙ্খিত স্ট্যাটাস সমগ্র এক করে আপনাদের সামনে হাজির করার দুঃসাহসটা করেই ফেললাম
"
"
"
"
"
"
"

ফেসবুকে মেয়েদের স্ট্যটাস ঘুরে ফিরে এক রকম হয়। যেমন ধরেনঃ

১. আজ আমার মন টা খুব খারাপ তোমাদের কি খবর বন্ধুরা??

২. আহ ছেলেরা এত খারাপ কেন হয়?কেউ কি বলতে পার?? (নিজে মনে হয় ধোয়া তুলসি পাতা)

৩. বুঝিনা সব ছেলেরা আমাকে এত লাইক করে কেন? (নিজের ঢোল নিজেরই পিটাইতে হয়)

৪. আমি সব ছেলে কে চিনি একটাও ভাল না একটাও না (এহ নিজে মনে খুব ভাল)

৫. উহ কত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে রে আর ভাল লাগে না (সব বেকুব গো )

৬. আম্মু খুব বকা দিসে এখন আমি কান্না করতাসি ,ভ্যা ভ্যা ভ্যা (উহ, ন্যাকা)



(বি দ্রঃ প্রতিটি স্ট্যাটাসের পর ১০০ টি আতেল মারকা পোলাদের কমেন্ট থাকা বাধ্যতামুলক)

১৫ আগস্ট, ২০১১

পুলিশ নাকি মহা ক্ষমতাধর..!! হা হা কেডা কইছে

চারিদিকে পুলিশের বদনাম । মিলনরে হুদা কারণ ছাড়াই মারল , কাদেররে হুদাই ডাকাত সাজাইয়া জেলে হান্দাইলো । আর সাথে সাথে রব পড়ে গেল । পুলিশ নাকি রাক্ষস হইয়া গেছে । হুনলে আমার তো হাসিই আহে । খিক খিকজ্জ । কেন ?? নিচে দেখেন
"
"
"
"
"
"
"
"
"
"

মার ঘুরিয়ে , উড়িয়ে


পুলিশও তাইলে মাইর খায়। তাহলে কি প্রমাণ হইল ??
প্রমাণ হইল যে পুলিশও মানুষ

৩১ জুলাই, ২০১১

একটা খুন করতে যাচ্ছি । পারলে ঠেকান দেখি

আগে ভাবতাম কাউকে খুন করতে কেমন লাগে ? যদি কাউকে খুন করতে পারতাম । আহ আভবনাটা ভাবনাতেই ছিল । যানতাম এমন ভাবনা কখনও পূরণ হয় না



কিন্তু সময়ের বিবর্তনে কত কিছুইনা ঘটে । এবার মনে হচ্ছে আমার ইচ্ছাটা পূরণ হওয়ার একটা চান্স আসছে । তবে এখনও জানি না কাকে খুন করব । ভেবেও পাচ্ছিনা খুন করার মত আমার কোন শত্রু আছে কিনা । তাই ভাবছি ভাড়ায় কাউকে খুন করব । আমাগো রাজনৈতিক নেতাদের অনেক শত্রু । তারা চাইলেও অনেককেই খুন করতে পারেন না । তাই ভাবতাছি তাদের খুন করার কাজটা আমিই করে দিমু । চামে আমার ইচ্ছাটাও পূরণ হইল


কি ভাবছেন ? আমি পাগল ? নাহ । সুস্থ মস্তিষ্কে সিদ্ধান্ত নিছি । খুন আমি করবই । আর ফাঁসির ভয় ? হা হা হা । আমাকে ফাঁসি দিবে কে ? মহামান্য আদালত ? খিক খিকজ্জ । কথায় আছে বাপেরও বাপ আছে । আরে সর্বোচ্চ আদালতেরও বাপ আছে । কেডা ?? আমাগো অলস রাষ্ট্রপতি..!!


যে নেতাই আমারে দিয়া খুন করাক শর্ত একটাই । ক্ষমতায় গেলে অথর্ব রাষ্ট্রপতি দিয়া আমারে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করতে হবে , আর কিছুই না



আমাদের দেশের অতীত রাষ্ট্রপতিদের ক্ষমার মাহাত্ব দেখে আমি ভয় ডর ভুলে খুন করার সিদ্ধান্ত নিছি




ইনি ড: ইয়াজউদ্দিন আহমেদ । হাওয়া থেকে পাওয়া নির্দেশে ক্ষমা করেছিলেন খুনি মহিউদ্দিন ঝিন্টুকে । ওরে আমার আদেশ পালনকারীরে




বয়োবৃদ্ধ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান । খুনের বিপ্লব ঘটানো বিপ্লবকে ক্ষমা ঘোষণাকারী । মহান বিপ্লবী



জি ঠিক ধরেছেন , ইনি আমাগো ভবিষ্যত রাষ্ট্রপতি । ইনি স্বঘোষিত ভবিষ্যত খুনী মেঘ কান্যবে ক্ষমা ঘোষণা করবে



এইযে দেখেন ভয় ডরহীন মেঘ কাব্য নিশ্চিন্তে কেমনে বিড়ি টানতাছে

হাহ হা, কি বুঝলেন ?

১৪ জুলাই, ২০১১

আবারও যৌন নির্যাতন , আবারও মাদ্রাসা শিক্ষক । মাদ্রসা শিক্ষা ব্যবস্থা আজ কোথায় ??


আবারও যৌন নির্যাতন , আবারও মাদ্রাসা শিক্ষক । আজকের প্রথম আলোর খবরটা পড়ুন ছাত্রকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসাশিক্ষক কারাগারে

গত কয়েকদিনের পত্র পত্রিকা ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের খবরাখবর নিয়ে বেশ গরম । পরিমল কাহিনীর পর টানা কয়েকদিন পত্রিকায় ধর্ষণের খবর আসছে । দেখুন গত কয়েকদিনের ধর্ষণের খবরগুলো ।

১. ১৩ বছরের বালিকা ধর্ষণের শিকার ৭৫ বছরের মক্তব শিক্ষকের কাছে
২. স্কুল ছাত্রীর ধর্ষনের ছবি ইন্টারনেটে দেয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা ছাত্রের নামে মামলা
৩. চুয়াডাঙ্গায় শিশু ধর্ষণের শিকার
৪. উখিয়ায় অপহরণের পর শিশুকে ধর্ষণ!
৫. ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আখাউড়ায় শিক্ষক গ্রেপ্তার
৬. ‘মাইয়াডারে নিইয়া অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিছি’

এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ উদাহরণ হল আজকের এই ঘটনা । ফেছবুকে পাভেল ভাই একটা লিঙ্কটা শেয়ার করেছেন এভাবে
Pavel Mohitul Alam
‎'পরিমল-জাকির'দের কোনো ধর্ম নেই। এদের একটাই পরিচয়- এরা ধর্ষক!
'ছাত্রী' না, 'ছাত্র'কে যৌন নির্যাতন করে গ্রেফতার হয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষক জাকির।
যারা এতদিন বলেছেন, বোরকা পড়লে কোনো মেয়ে ধর্ষিতা হয় না, তারা এখন কী বলবেন? ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য এই ছেলেটারও কি বোরকা পড়া উচিৎ ছিল?


কিছু হুজুর টাইপ মৌলানা মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়া এত লাফালাফি করেন , আচ্ছা বলুন তো মাদ্রাসা তাহলে কি শেখাচ্ছে ?? মাদ্রাসা থেকে কি নৈতিকতা মুছে গেল ? ধর্ষণগুলোর তালিকা থেকে দেখা যায় স্কুলের শিক্ষকেরা যেমন যৌন নির্যাতন করে তেমনি মাদ্রাসার শিক্ষকেরাও বাদ যান নি । তাহলে প্রশ্ন উঠে মাদ্রাসায় কি নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হয় না ?? এমন নির্যাতনকারী হুজুর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কি নৈতিকতা শিক্ষা দেবেন তা আমার বোধগম্য না । ভাবতে কষ্ট হয় এত এককালের সনামধন্য মাদ্রাসার আজ এ হাল কেন ? এর জন্য দায়ী কে ? উগ্র মৌলবাদ নয় তো ?

পত্রপত্রিকায় ধর্ষণের কোন খবর এলেই কিছু হুজুর টাইপ ব্লগার মেয়েদের পোষাক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । তাহলে আজকের ঘটনায় পাভেল ভাইয়ের মত বলতে হয় "ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য এই ছেলেটারও কি বোরকা পড়া উচিৎ ছিল?"

ধর্ষণের লিস্টটা ব্লগার নষ্ট নীড়ের গত দিনের ধর্ষন সমাচার পোস্ট থেকে নেয়া । তাই কৃতজ্ঞতা তার প্রতি

৩ জুলাই, ২০১১

দেশের সম্পদ রক্ষায় টোকাইদের হরতাল ও টোকাইদের উপর পুলিশি নির্যাতন এবং একজন অসহায় টোকাইয়ের আর্তনাদ


আমি কোন দল করিনা । কারও আদর্শ আকড়ে ধরে পরেও থাকি না । আমি শুধু বুঝি কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ । আমি হরতাল সমর্থন করিনা । কারণ এমনিতেই ছুটির ফাঁদে বহির্বিশ্বের সাথে ব্যবসা যেনতেন । এর মধ্যে হরতাল বাজায় দেশের বারটা । তাই সারাজীবন হরতাল থেকে দূরেই থেকেছি । কিন্তু প্রথমবারের মত আজ মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপসের সঙ্গে সরকারের চুক্তির প্রতিবাদে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত্-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা অর্ধদিবস হরতালে আমি সমর্থন দিয়েছি । কেন দিয়েছি ? হা হা হা...কেন দেব না ? বিদেশী একটা কোম্পানী আমাদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যাবে আর আমরা তা সহ্য করে যাব ? না , কখনই না

আমি টোকাই । হ্যা আমি একজন টোকাই । আমি তথাকথিত দেশপ্রেমিক না । কিন্তু জন্মসূত্রে আমি এই মায়ের সন্তান । আর উত্তরাধিকার সূত্রে আমার মায়ের সম্পদের উপর আমার ভাগ আছে । দেখি আমার মায়ের সম্পদ আমার থেকে কে কেড়ে নিতে আসে ।


হ্যা আজকের হরতাল ছিল বাঁচা মরার লড়াই । সরকার(দেশপ্রেমিক) এর সাথে টোকাইদের লড়াই । আর টোকাইরা কিন্তু নিজেদের অধিকার কখনই ছাড়ে না ।



টোকাইদের উপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদী তথাকথিত দেশপ্রেমিক সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশের নির্যাতন ।




এরা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী না । এরা দেশপ্রেমিক না । এরা টোকাই । কিন্তু এদের দেশের প্রতি ভালবাসা আছে । দেশের সম্পদ রক্ষার জন্যই এরা আজ রাস্তায় নেমেছে । টোকাইদের উপর পুলিশের এমন হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি



সরকার বলে হরতালকারীরা নাকি দেশদ্রোহী । দেশের সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার প্রতিবাদ যদি দেশদ্রোহীতা হয় , তাহলে ঘর , জমি , নিজেদের স্বার্থের জন্য হরতাল দেয়া বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলো কি ???


আমাদের সম্পদ আমাদের আগামী দিনের উন্নতির পাথেয় । আগামী প্রজন্মের কাছে একটা সুন্দর বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে এই সম্পদ আমাদেরই দরকার । না হলে আগামী প্রজন্ম কিন্তু আমাদের ক্ষমা করবে না ।


সবগুলো ছবি ফেছবুক থেকে নেওয়া

২২ জুন, ২০১১

ব্লগের ভাঙা গড়ার খেলা । টেমপ্লেট ডিজাইন অভিযান

একটা ব্যাক্তিগত ব্লগ খুলেছি সেই কবে । কিন্তু নিয়মিত পোস্ট করা হচ্ছে না । সেই সাথে দেয়া যাচ্ছে না ব্লগকে একটা আকর্ষণীয় চেহারা । কত টেমপ্লেটই যে লাগাম । কিন্তু চোখ আর ভরে না । তাই কিছুদিন ব্লগ ডিজাইন করা থেকে দূরে ছিলাম । কিন্তু অনেক আনাড়ী মানুষের কাছেও সুন্দর সুন্দর ব্লগ টেমপ্লেট দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না । নিজের ব্লগের দিকে তাকিয়ে বললাম ধরছি তরে । আইজ সুন্দর বানাইয়া ছাড়মুই । দিলাম গুগোলে সার্চ । আসল অনেক টেমপ্লেট । কিন্তু আমার যে কি চোখ আল্লাহ জানেন । কোনটাই পছন্দ হয় না..!! ও আল্লাহ তাইলে উপায় ?? যখন আমি চোক্ষে আন্ধার দেখতাছি তখনই পাইলাম এই সাদামাটা কিন্তু সুন্দর টেমপ্লেটটা । দিলাম ডাউনলোড , করলাম এক্সট্রাক্ট । আহ টেমপ্লেটটা লাগানোর পর যা খুশি লাগছে না । কি আর কমু

১৫ জুন, ২০১১

একজন নির্যাতিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা রুমানা মনজুর এবং আমরা .....

কালকের প্রথম আলোতে পারিবারিক নির্যাতনের ভয়াবহ রূপ শিরোনামের লেখাটা নিশ্চয় পড়েছেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা রুমানা মনজুর কে কিভাবে তার পাষন্ড স্বামী নির্যাতন করেছেন । যিনি এখন ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি ও তার মেয়ে আনুশা । রুমানা মনজুরের ভাষায় " কক্ষে ঢুকেই পেছন থেকে হামলা চালায় ও। চুলের মুঠি ধরে দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। কামড়ে নাক-মুখ ক্ষত-বিক্ষত করে। রক্তে পুরো শরীর ভরে যায়। একপর্যায়ে মেঝেতে পিছলে পড়ি নিজের রক্তের ওপর  " ।


ডাক্তারের ভাষ্যমতে, রুমানা মনজুরের বাঁ চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ডান চোখে দেখতে পারবে কি না, তা-ও অনিশ্চিত।’


রুমানা মনজুরের স্বামী হাছান সাইদ বুয়েট থেকে পাশ করা একজন ইঞ্জিনিয়ার । ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া একজন ছাত্র হিসেবে নিজেকে ছোট মনে করেছিলাম । মনে করেছিলাম আমরা কি এই শিখছি ?? ভাবতে কষ্ট হয় কিভাবে একজন শিক্ষিত মানুষ নিজের স্ত্রীর উপর এমন পাশবিক নির্যাতন করতে পারে । অবশ্য সে যদি আসলেই মানুষরূপী জানোয়ার না হয়ে থাকেন । প্রথম আলোতে কয়েকজন পাঠকের মন্তব্য দেখুন


Abdullah al-mamun. রংপুর
১. সমাজের একজন প্রতিষ্টিত নারীর যদি এই দশা হয় তবে সাধারন নারীদের অবস্থা কেমন যাচ্ছে একটু ভাবুন।


Prabir Paul
২. সাইদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পাস করা প্রকৌশলী! সাবাস ! লেখা পড়া করে অনেক উচু ধরনের মানুহুস হয়েছে সাইদ। এমন অমানুষ হয়েছে যে তাকে গহিন বনে নিয়ে রাখলে হিংস্র পশুরা বন্ধু ভাববে । থু দেই এই শিক্ষার কপালে । এটা নি:সনদেহে আমাদের অসুস্থ্য সমাজের পরিস্কার চিত্র ।


Sajid
৩. এই বিষয়ে কি মন্তব্য করবো তার ভাষা সত্যিই আমার জানা নাই। আমি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে উচ্চশিক্ষার্থে দেশের বাইরে আছি। কাজ না থাকলে মানুষের মাথা যে শয়তানের মাথা হয় এই কলাম এর "হাসান সাইদ" বিষয়ে আমার এখন এটাই শুধু মনে হচ্ছে। নারকিয়, পাশবিক , জঘন্য......।।


desh premik
৪. অমানবিক, ভয়ংকর! এমন পাষন্ড আর কুতসিত স্বভাবের মানুষ যে দেশে আছে সেটা মাঝে মাঝেই এসব খবরের মাধ্যমে জানা যায়। শিক্ষিত নামের কুশিক্ষিত এবং জঘন্য স্বভাবের মানুষ এমন কাজ করতে পারে, সেটা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। অথচ, আমাদের সমাজেই লুকিয়ে আছে এমন হাজারো জঘন্য চরিত্রের মানুষ। আমরা রুমানার জন্য দোয়া করতে পারি আর পাষন্ড হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি


Banglar Gaan
৫. এই ভদ্রলোক কে একটি খাঁচায় ভরে বাকি জীবনটা সুন্দরবনে রেখে আসা উচিৎ হবে, এবং খাঁচায় লিখে দিতে হবে "বন্যেরা বনে সুন্দর"।


shamim
৬. আমরা আজ কোন দেশে বাস করছি? আমাদের মন মানসিকতা এমন কেন? আমরা কি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন শিক্ষাই রেখে যাব? সাইদ এর পরিবারের এরকম কিছু ঘটলে ওকি এটা মেনে নিতে পারত? সাইদের শাস্তি জনসম্মুখে হওা উচিৎ । তাহলে এরকম ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস আর কেও পাবেনা। দোয়া করি রোমানা যেন খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠে।


রুমানার পাশে আজ দাড়িয়েছে তার সহপাঠীরা , তার ছাত্র ছাত্রীরা সহ সমাজের সকল বিবেকবান মানুষ । ফেছুবুকে গ্রুপ খোলার মাধ্যমে তার বন্ধুরা আন্দোলন গড়ে তুলছে এই পাশবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে । আপনারাও শরীক হোন । চলুন ধিক্কার জানাই মানুষরূপী জানোয়ার হাছান সাইদকে । সমাজে আন্দোলন গড়ে তুলি আর যেন কোন নারী কোন শিক্ষিকাকে এমন ভাবে নির্যাতিত হতে না হয় । কারণ এরাই কিন্তু আমাদের কারও না কারও মা , কারও না কারও বোন আর কারও না কারও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ।

৫ মে, ২০১১

মৃধাতের জন্য ভালবাসা

মনে আছে মৃধাতের কথা ? ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া চট্টগ্রামের সেই শান্ত মেয়েটির কথা ? মৃধাত শারিমা রহমান । যে কিনা নৃশংসভাবে খুন হয়েছিল তারই বন্ধুর হাতে । মনে না থাকারই কথা । মৃধাত যে আজ আর আমাদের মাঝে নেই । চলে গেছে না ফেরার দেশে । আজ মৃধাতের জন্মদিন । আজ এই দিনে মৃধাতকে মনে পড়ছে খুব । তার জন্যই এই লেখা ।


প্রতিদিনের মত সেদিনও ঘুম ভেঙেছিল কিছুটা দেরি করে । ঘুম থেকে উঠে অভ্যাসবশত হাতে নিয়েছিলাম প্রথম আলো পত্রিকাটা । পত্রিকার দিকে তাকিয়েই চোখ আটকে গেল একটি খবরের দিকে । খুব সুন্দর একটি মেয়ের ছবি দেয়া । নিচে লেখা ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে খুন । শিরোনামটা মনে নেই, কিন্তু এমনই কিছু ছিল । শিরোনামটি পড়ে আমি মেয়েটির ছবির দিকেই তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ । এরপর খুব দ্রুতই খবরটি পড়ে ফেললাম । পড়ার সময় ভাবছিলাম এও কি সম্ভব ?? পেপারে যা লিখা ছিল তা হল খুনিটার সাথে মৃধাতের সম্পর্ক ছিল । কিন্তু খুনিটা ছিল বখাটে । আর তাই মৃধাত চেয়েছিল সম্পর্ক শেষ করতে । তাই সে অন্য এক বন্ধুর বাসায় শেষবারের মত দেখা করতে গিয়েছিল তার প্রেমিকের সাথে । সেখানে ছাদের উপর মৃধাতের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ের বখাটে ছেলেটি মৃধাতের উপর উপর্যপুরি ছুড়ি চালায় । হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃধাত চলে যায় না ফেরার দেশে । গ্রেফতার হয় খুনি সৌরভ ।


খবরটি পড়ে আমি আরও কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম ছবিটির দিকে । ভাবছিলাম কিভাবে সম্ভব ? মনের মধ্যে অগণিত প্রশ্ন এসে ভিড় করা শুরু করল । এত সুন্দর একটা মানুষকে কি কেউ খুন করে ? ভালবাসার মানুষকে কি কেউ খুন করতে পারে ? এত সুন্দর নিষ্পাপ মেয়েটির কি অপরাধ ছিল ? এ কেমন ভালবাসা যে ভালবাসা হিংস্রতার জন্ম দেয় ? সারাদিন ভেবেও কোন জবাব পাইনি । নিজের কাছেই নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছিল । একটা ছেলে খুন করেছে ওকে । আমারই মত কেউ একজন । একটা ছেলে, একটা মানুষ । কিন্তু না পরক্ষণেই মনে হল মানুষ না । তার তুলনা শুধু একটা পশুর সাথেই হতে পারে । মাঝে মাঝে বলি মৃধাত তুমি আমাদের ভুল বোঝনা । ওই একটা ছেলের জন্য সব ছেলেই খারাপ হতে পারে না । তোমার জন্য, তোমার হত্যাকারীর বিচারের প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছে আমার মত আরও অনেক ছেলে । মৃধাত আমার কেউ ছিল না । আমি ওকে চিনিও না । কিন্তু ওর জন্য আমার কষ্ট কম হয়নি । মনে হয়েছিল খুব কাছের একজন বন্ধুকে হারিয়েছি আমি । খুব কাছের ।


আজ মৃধাত নেই । স্মৃতি হয়ে বেঁচে আছে সব বন্ধুর হৃদয়ে । মৃধাতকে কেউ ভুলে যায়নি । মৃধাতের জন্য মানববন্ধন করেছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা । তার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছিল সব মানুষ । মৃধাতের স্মৃতির জন্য বন্ধুরা খুলেছে ফেইছবুক ফ্যান পেইজ । ৭ হাজারের উপরে লাইক , প্রতিদিন মৃধাতের উদ্দেশ্যে পোস্ট প্রমাণ করে মৃধাতের প্রতি মানুষের ভালবাসা । মৃধাত তুমি উপর থেকে দেখছ তো আমাদের ?


আজ মৃধাতের জন্মদিন । মৃধাত যখন ছিল তখন হয়ত অনেক মজা করেই ওর জন্মদিন পালন করা হত । আমি জানি আজ স্বর্গে ওর বন্ধুরা ওর জন্মদিন পালন করবে । তখন কি একবারও ওর মনে পড়বেনা ওর বন্ধুদের কথা , যে বন্ধুরা ওর জন্মদিনে পার্টি দিত ? আমার মনে হয় পড়বে । মৃধাত যে তার বন্ধুদের খুব ভালবাসত ।


ছবিটি মৃধাতের ফেইছবুক ফ্যান পেইজ থেকে নেওয়া

২৭ এপ্রিল, ২০১১

বইপড়ার অভিজ্ঞতা..!!

ছোট বেলায় পড়েছিলাম বই কিনে নাকি কেউ দেওলিয়া হয় না । বর্তমান যুগে এই কথাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে । কিন্তু এটা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই যে বই পড়ে কেউ দেওলিয়া হয় না । আমি বিশ্বাস করি একমাত্র বই পড়লেই প্রাচুর্য লাভ করা যায় । জ্ঞানের প্রাচুর্য । যা কখনও কমেনা , বরং বেড়েই যায় । কারণ বইই একমাত্র মাধ্যম যেখানে সঞ্চিত আছে হাজারো মানুষের অর্জিত জ্ঞান । আর সেই বই পড়া মানেই তার অর্জিত জ্ঞান নিজের মধ্যেও নিয়ে নেওয়া । শতাব্দী প্রাচীনকাল থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে কাগজ থেকে বই আজ ইবুকে রূপ নিয়েছে ।


খুব ছোটবেলায় পাঠ্যবইয়ের বাইরে আর কোন বই পড়তাম না । ছোটবেলার সেই ধারাপাত বই পড়তেই অনেক কষ্ট হত আর ভাবতাম কখন পড়া শেষ করে খেলতে যাব । ছোটবেলায় ঠাকুমার ঝুলিতে ঝোলেনি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে । ছেলে বুড়ো সকলের কাছে এখন পর্যন্ত সমান জনপ্রিয় ঠাকুমার ঝুলি । আমার মনে হয় বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে বেশিবার পঠিত বই ঠাকুমার ঝুলি । রাক্ষোস ক্ষোকসের সাথে রাজকন্যা আর রাজপুত্রের প্যাচগোচ বুঝতে বুঝতে ঘুমাতে হত তখন । ঠাকুমার ঝুলি মানুষ নাকি দাদী নানীর কাছেই প্রথম শুনে থাকে । কিন্তু সত্যি বলতে কি আমি প্রথম গল্প শুনি আমার বড় আপুর কাছে । ঠাকুমার সাথে আপু প্রাইজ হিসেবে পাওয়া বিভিন্ন দেশের রূপকথার গল্প বইটাও পড়ে শোনাত । আমার পেছনে আমার বড় আপুর অবদান কখনই ভুলতে পারব না ।


যাই হোক এরপর কিছুটা বড় হয়ে কমিকস পড়া শুরু করলাম । ক্লাশ থ্রিতে পড়ার সময় হাতে এল প্রাণের কমিকস..!! প্রতিদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে কমিকস কিনতাম । আম্মুর সাথে আমার ডিলই ছিল প্রতিদিন আমাকে কমিকস কিনে দেয়া । আর সেই সব বই বন্ধুরা শেয়ার করতাম । চাচা চৌধুরী , বিল্লু , পিঙ্কি , রমণ , ডায়নামাইট , ফ্যান্টম , লম্বু মোটু , প্রাণের সব বইই পড়াতাম । তবে এর মধ্যেও সবচেয়ে প্রিয় ছিল অবশ্যই চাচা চৌধুরী । সাবু আর কুকুর রকেটকে নিয়ে চাচা চৌধুরীর সেই কাহিনীগুলা আজও ভুলতে পারিনি । আর ভুলতে পারিনি ব্যাক ডায়ালগ...চাচা চৌধুরীর বুদ্ধি কম্পিউটারের চেয়ে প্রখর...!!!


আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম । কিন্তু বই পড়ার দিক থেকে আর বড় হতে পারছিনা । ছোট গল্প আর কমিকসের বাইরে অন্য কিছুই ভাল লাগেনা । ততদিনে আপুরা দেখতাম মাঝারি সাইজের কিছুটা মোটা তিন গোয়েন্দা নামে কি বই যেন পড়ত । অনেক চেষ্টা করেছি । কিন্তু ভাল লাগাতে পারিনি । আমার বন্ধুরাও ততদিনে তিন গোয়েন্দা পড়া শুরু করে দিয়েছে । কিন্তু আমি পড়তেই পারছিনা । কষ্ট লাগে এত বড় বই পড়তে..!!! ওই সময়ে বিমান দূর্ঘটনা বইটা যে কতবার শুরু করেছি তার ইয়াত্তা নেই । কিন্তু শেষ করতে পারিনি । অবশেষে ক্লাশ সেভেনে আমার বন্ধু রিফাত আমাকে এক রকম জোর করেই একটা তিন গোয়েন্দা বই পড়তে দিল । অনেক অনুরোধ করে বলল শুধু একটা বই যেন আমি পড়ি । এরপর ভাল না লাগলে আর পড়ার দরকার নেই । আমার এখনও মনে আছে রিফাতের দেয়া আমার পড়া তিন গোয়েন্দার প্রথম বইটির কথা । বইটি ছিল জলদস্যুর মোহর নামে একটা বই । ওই বইতে তিন গোয়েন্দার চিরশুত্রু শুঁটকি টেরিও ছিল । স্কুল থেকে এসে ড্রেস চেঞ্জ না করেই বিছানায় শুয়ে পড়া শুরু করেছিলাম বইটি । আমার এখনও মনে আছে সারাদিন লেগেছিল বইটা শেষ করতে । বইটা শেষ করে মনে হয়েছিল আমি যেন অন্য কোন জগতে চলে গিয়েছি । ওই বয়সে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় প্রতিটি কিশোর কিশোরীর কাছে তিন গোয়েন্দা ছিল রীতিমত হিরো । সবাই আচ্ছন্ন ছিল তিন গোয়েন্দার লাইফের প্রতি । আমিও তার ব্যাতিক্রম ছিলাম না । বাংলাদেশে তিন গোয়েন্দা পড়েনি এমন শিক্ষিত কিশোর কিশোরী মনে হয় কমই আছে । আমার মনে হয় তিন গোয়েন্দা পড়ার পর থেকেই আমি কিছুটা আধুনিক হয়েছি, বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছি । তাই তিন গোয়েন্দার কাছে আমি আজীবন ঋণী হয়ে রইলাম ।


এস.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়ার আগ পর্যন্ত শুধু তিন গোয়েন্দাই পড়েছি । এর বাইরে সেবার কিছু অনুবাদ আর ওয়েস্টার্ণ পড়েছি । তবে তিন গোয়েন্দার মত আর কিছুই আমাকে টানতে পারেনি । অনেকেই তখন মাসুদ রানা পড়ত । কিন্তু মাসুদ রানা আমাকে কখনও টানতে পারেনি । কারণটা আমি নিজেও জানিনা । তখন পর্যন্ত যে কোন ধরণের উপন্যাস আমার জন্য নিষিদ্ধ ছিল । কিন্তু আমি ওই সময় ফুপির বাসায় গিয়ে তসলিমা নাসরিনের নিষিদ্ধ উতল হাওয়া বইটি লুকিয়ে পড়ে ফেলেছিলাম..!! হা হা হা । যদিও আইনটা আমার ছোট বোনের ক্ষেত্রে ছিল না । ও ক্লাশ সেভেন থেকেই হুমায়ূন, মিলন পড়ত । দুইজনের জন্য কেন দুইটি ভিন্ন আইন বলবৎ ছিল আমি জানিনা । বড় আপু ছিল এই আইনের প্রবক্তা । তবে অবশ্য পাঠ্যের তালিকায় হাজার বছর ধরে ছিল বলে ওই কার্ফিউর সময় উপন্যাসটা পড়েছিলাম । আমার সর্বাধিক পঠিত বইয়ের তালিকায় হাজার বছর ধরে বইটি বেশ উপরের দিকেই থাকবে । মন্তু আর টুনির কৈশোরিক প্রেম কাহিনী সেই কিশোর বয়সে আমার মনে অনেক দোলা দিয়েছিল..!!


কলেজে উঠেই আমার যে কথা প্রথম মনে হয়েছে সেটা হল আমি এখন অনেক বড় । তাই সবকিছুই পড়ার বয়স আমার হয়েছে । কিন্তু হায় যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় । সাতকাহন বইটা নিয়ে প্রথমেই ধরা খেলাম আপুর হাতে । যথারিতী জানলাম কার্ফিউ বলবৎ আছে । সুনীল সমরেশ পড়ার বয়স হয়নি । অগ্যতা হুমায়ূন আর জাফর ইকবালই ভরসা । কলেজের দুই বছর চুটিয়ে হুমায়ূন আহমেদ আর জাফর ইকবালের বই পড়েছি । জাফর ইকবালের বই আগেও পড়েছি, কিন্তু সত্যিকারের মজা পাইছি এই দুই বছরে । ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর সদস্য ছিলাম, সেই সাথে বাসার সংগ্রহ নেহাত কম ছিল না । তাই বইয়ের অভাব হয়নি । দুই ভাইয়ের সব লেখাই গোগ্রাসে গিলতাম । হিমু পড়ে উদাস হতাম, তো মিসির আলী পড়ে আবার বিচক্ষণ ব্যাক্তি, তার মাধ্যমেই ট্রেনে করে ঘুরে এসেছি দারূচিনি দ্বীপ আর কলম্ব । মনে আছে জাফর ইকবালের আমি তপু পড়ে চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি । খুব ইচ্ছে করত দুষ্ট ছেলেদের দলের সাথে মিশে যেতে, দীপু নাম্বার টুর মত প্রাচীন গুহায় গুপ্তধন খুজতে, হাত কাটা রবিনের মত বন্ধু পেতে । আর আমার বন্ধু রাশেদ পড়ে শিখেছি রাজাকার হায়েনাদের ঘৃণা করতে , দেশকে ভালবাসতে, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে ।


এতসব ছাড়া আহসান হাবীব, আব্দুল্লাহ আবু সাইদ স্যার , নিমাই ভট্টাচার্য, জীবনানন্দ দাসের লেখাও পড়েছি । ভালবাসা কি জিনিস তা নিমাই ভট্টাচার্যের মেমসাহেব পড়েই প্রথম বুঝেছি । পাঠ্য বইয়ের বাইরে রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের কিছু বই পড়েছি । কিন্তু শ্রীকান্ত আর দেবদাস ছাড়া শরৎ রচনাবলী পড়া হয়নি । যুগের হাওয়ায় হ্যারি পটার, দ্য দ্যা ভিঞ্চি কোড পড়তে হয়েছে । পটার সিরিজ আমার কাছে তিন গোয়েন্দার মতই প্রিয় । এছড়াও ইমদাদুল হক মিলন, প্রণব ভট্ট আর আনিসুল হকের কিছু বই পড়া হয়েছে । শেষ পড়েছি সৈয়দা ফারজানা সুলতানার জলে ভেজা মন । কিন্তু পড়া হয়নি সুনীল সমরেশ...!!! এই ইউনিভার্সিটি জীবনে প্রবেশ করেও আপুর কাছে শুনতে হয় " আগে বড় হও তারপর সুনীল সমরেশ পড়বা..!!" আমিও আর সেটা নিয়ে মাথা ঘামাইনা । আগ্রহও হারিয়ে ফেলছি সুনীল সমরেশের প্রতি । ও আমার ছোট বোনের কিন্তু সমরেশের প্রধান বইগুলা পড়া শেষ..!!


আজ যখন ফেলে আসা জীবনের পাতা উল্টাই তখন মনে হয় কম বই পড়িনি । তখন হিসেব করতে বসে যাই কি শিখলাম আমি । ভেবে কোন কূল পাইনা । ছোট্ট একটা অনুভূতি বুকের ভেতর থেকে বের হয়ে আসে । জ্ঞানের মহাসমুদ্রে এ আমার ক্ষুদ্র পদচিহ্ন মাত্র ।


ভাল থাকুন । ধন্যবাদ

১৪ এপ্রিল, ২০১১

আমার খেলা দেখা


বিশ্বকাপ দেখতে পারিনি , তাই বলে কি বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া সিরিজ মিস করব..!! কখনই না । যতই কষ্ট হোক এই সিরিজটা দেখতেই হবে । বিশ্বকাপ দেখিনি , তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আর কি । কিন্তু টিকেট কিনতে গিয়ে আবারও টের পেলাম বাংলাদেশ আসলেই ক্রিকেটীয় জাতি । প্রথম দুই ম্যাচের টিকেট পেলাম না..!! ভাবতেই পারিনি বিশ্বাকাপ শেষ হওয়ার পর পরই এই সিরিজের উপর মানুষের এত আগ্রহ থাকবে । যাই হোক অনেক কষ্টে অনেক ক্রোশ দূর পথ হেটে টিকেট পেলাম ৫ টা । আমরা ৫ বন্ধু মিলেই খেলা দেখব । আমরা কেটেছিলাম ডে নাইট ম্যাচ । প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ ভাল খেলেনি । তাই টেনশনে ছিলাম আমাদের ডে নাইট ম্যাচ যেন ডে তেই শেষ না হয়ে যায়...!!!


১৩ তারিখ ক্লাশ মিস দিলাম শুধু খেলা দেখব বলে । খেলা শুরু দুপুর ২ টা থেকে , বাসা থেকে বের হলাম ১.৩০ টায়..!! ঢাকার রাস্তার চিরাচরিত জ্যাম পেরিয়ে পৌছে গেলাম স্টেডিয়াম এলাকায় । কিছু খেয়ে , গালে পতাকা একে লাইনে দাঁড়িয়ে ঢুকে গেলাম স্টেডিয়ামে । ঢুকেই অবাক চমৎকৃ্ত হলাম এত সুন্দর স্টেডিয়ামটা দেখে । ভাবতে ভালই লাগে যে বাংলাদেশ আসলে অনেক এগিয়ে গেছে । স্টেডিয়ামটা বিশ্বের যেকোন ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সাথে পাল্লা দেয়ার মত । একেবারে সাজানো গোছানো একটা স্টেডিয়াম । তবে ঝামেলা হল আসন পাওয়া নিয়ে । আমাদের আসন ছিল লোয়ার লেভেলে উপরে । কিন্তু ঢুকে দেখি উপরে কোন আসন খালি নাই । অগ্যতা কি আর করা বসে গেলাম অন্য আসনে । ভালই মজা করে খেলা দেখছিলাম । ডিস্টার্ব শুরু হল তখন । যে আসনে আমরা আসন গ্রহণ করেছিলাম তার মালিক এসে হাজির । দিল আমাদের উঠিয়ে , এখন উপায় ?? উপায় একটাই উদ্ধার করতে হবে আমাদের নিজেদের আসন । খুজেও বের করলাম । বসে আছে কয়েকটা যুগল । আহা ইচ্ছে করেনি তাদের ডিস্টার্ব করতে , কিন্তু আমরা ছিলাম নিরুপায় তাই কি আর করা উঠাতেই হল । বসলাম আরাম করে , একেবারে নির্ঝনঝাট ভাবে খেলা দেখছি । এদিকে তো অস্ট্রেলিয়া রান তুলছে একেবারে বুলেট গতিতে । আর বাংলার দামাল ছেলেরা যেন ফিল্ডিং মিসের প্রতিযোগিতা শুরু করছে । হাতে মনে হয় মাখন মাখিয়ে আসছে । তাই বল পিছলে বার বার সীমানা পার হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু তাতে কি , আমরা এসেছি ক্রিকেট দেখতে । তাই চার হলে আমরাও লাফিয়ে উঠেছি , আনন্দ করেছি । দেখতে দেখতেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ । বাংলাদেশের সামনে টার্গেট ৩৬২, বাংলাদেশ কি পারবে এই রান অতিক্রম করতে ?? আগের দুই ম্যাচের যে অবস্থা তাতে সম্ভব না । তারপরও আশায় ছিলাম । দেখা যাক কি হয় । তামিম আর ইমরুল কায়েস নেমেই পিটাতে লাগল জনসনকে । একটা করে চার হয় আর দর্শকের চিৎকারে কেঁপে উঠে গোটা স্টেডিয়াম । কিছুক্ষন পর তামিম আউট । নাফিস এসে দেখে শুনে খেলতে লাগল , আর ইমরুল রানের চাকা সচল রাখল । মনে হচ্ছিল জিতেই যাবে বাংলাদেশ । দর্শক অপেক্ষা করছিল ইমরুলের সেঞ্চুরির জন্য । কিন্তু বেচার নার্ভাজ নাইন্টিজে এতই নার্ভাস ছিল যে মামুলি একটা বলেই আউট । সাকিব এরপর নাফিস , সাকিব দুজনেই অবিবেচকের মত শট খেলে আউট । তবে ভাল লাগছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খেলা । বেচারার প্রতিভা বাংলাদেশ কখনই ব্যবহার করতে পারেনি । তাই রিয়াদ বেশী বল না খেলে ফিফটি মারল । কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংস শেষ ২৯৬/৬ এ । এটাই অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান । ম্যাচের প্রাপ্তি এইটুকুই । এটা বাংলাদেশ কোচ সিডন্সের শেষ ম্যাচ । আফসোস সিডন্সের শেষটা সুন্দর হল না । তবে সিডন্সের কাছে কৃ্তজ্ঞ থাকবে বাংলাদেশ । তার সময়েই বাংলাদেশ এতটা উন্নতি করছে । এই ম্যাচে আমার প্রাপ্তি কতটুকু ?? অনেক । হ্যা অনেক । জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখা তাও অস্ট্রেলিয়ার সাথে । তাই অনেক উত্তেজিত ছিলাম । কত যে চিৎকার করেছি বলে বোঝাতে পারব না । এতদিন যাদের টিভিতে দেখেছি তারা আমার সামনে..!! ভাবলেই কেমন যেন লাগে । ব্রাডম্যানের পর অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং আমার সামনে । কি ভাগ্যবান আমি..!!! মনে হয় না আর কখনও দেখতে পাব পন্টিংকে । মাশরাফি , সাকিব সবাই সামনে..!!! সে এক অদ্ভুত অনুভূতি । বলে আসলে বোঝানো যাবে না । তবে আফসোস প্রাইজ সেরেমনিটা দেখতে পারিনি । কেন জানি পুলিশ তাড়াতাড়ি আমাদের বের করে দিল । মনে হয় দায়িত্ব পালন করে তারা ক্লান্ত । যাই হোক অবশেষে আমার আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখার ইচ্ছা পূরণ হল আমি এতেই খুশি..!!!!


সারাদিন খেলা দেখে খুব ক্লান্ত । আমার আনন্দটা সবার সাথে শেয়ার করতেই রাত জেগে এই পোস্ট লেখা । ভাল লাগলে আমার আরও ভাল লাগবে । খুব ঘুম পাচ্ছে , ঘুমাব । রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ । সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা । ভাল থাকবেন । শুভ রাত্রি

১০ এপ্রিল, ২০১১

স্বপ্ন শুরুর কথামালা...!!!

প্রথমেই পাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অনেকদিন ব্লগ থেকে দূরে থাকার জন্য । অনেকদিন ভেবেছি আবার লেখা শুরু করি , কিন্তু সময় সুযোগ হয়ে উঠেনি । কিন্তু অবশেষে লেখা শুরু করলাম । আমার এই ব্লগে আগেও কিছু পোস্ট ছিল । কিন্তু সেগুলো একান্তই আমার নিজের কথা ছিল না । সবার জন্য কিছু সলুশনও ছিল । কিন্তু যেহেতু ব্লগটা একান্তই আমার  তাই ভাবলাম এখন থেকে ব্লগে শুধু আমার ভাবনা গুলোই প্রকাশ করব । সেই ভাবনা থেকেই আমার ফিরে আসা । তাই বলা যায় স্বপ্নব্লগের নতুন করে শুরুর সাথে সাথে এটাই আমার প্রথম পোস্ট...!!!

আমার ব্লগিঙের শুরুটা কিন্তু খুব বেশী দিনের নয় । কিন্তু ব্লগ সম্পর্কে জানি সেই ২০০৬ সাল থেকে । তখন অবশ্য আমার নেট সংযোগ ছিল না । সাইবার ক্যাফে অথবা বন্ধুদের বাসা থেকে ব্লগ পড়তাম । তখন অবশ্য বাংলাদেশে সামু ছাড়া আর কোন ব্লগ ছিল না । তাই ইংরেজী ব্লগে ঘুরতাম । বুঝতাম খুবই কম L Lতখন ইংরেজী ভাল না জানার জন্য আফসোস হত (এখনও খুব ভাল জানিনা :D) আর কষ্ট লাগত আমরা ইন্টার্নেট দুনিয়া থেকে কত পিছিয়ে আছি । আমাদের বাংলা ভাষা ইন্টার্নেটে কতটা পিছিয়ে । যাই হোক এভাবেই ভুগতে ভুগতে আমার ব্লগের শুরু । এরপর ধলেশ্বরীতে কত পানি গড়াল , ডিজিটাল সরকার আসল ( তাও বিদ্যুৎ ছাড়া :D) । কত বাংলা ব্লগের জন্ম হল । আর আমিও আমার কম্পিউটারে ইন্টার্নেট সংযোগ নিলাম । এরপর আমাকে আর পায় কে ধুমিয়ে বাংলা ব্লগ গুলো চষে বেড়াতে লাগলাম । ও তখনও কিন্তু আমি ব্লগার হিসেবে আত্নপ্রকাশ করিনি । তখনও শুধু ব্লগ পড়েই যেতাম । আর ভাবতাম মানুষ এত সুন্দর করে গুছিয়ে লেখে কিভাবে ??? বই , পত্র পত্রিকার বাইরেও যে লেখক থাকতে পারে তা আমি তখনই প্রথম বুঝতে পারলাম । এটাও বুঝতে পারলাম ইন্টার্নেট দুনিয়ায় বাংলা ব্লগ , বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হচ্ছে আর ইন্টার্নেটে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করার পেছনে একজন মানুষের কথা না বললেই নয় মেহেদী হাছান খান । অভ্রর নির্মাতা । কারন প্রথম দিকে ইন্টার্নেটে বাংলা লেখা যেত না । আর সামুতেও তাই প্রথম প্রথম ইংরেজী লিখতে হত । তো অভ্রর সাথে সাথে বাংলা ব্লগের পাশাপাশি আমারও উন্নতি ঘটতে লাগল (এখনও আমি অভ্র ছাড়া নরমাল বাংলা লিখতে পারিনা :D) যেহেতু অভ্র আছে তাই এখন আমাকে পায় কে...!!!! যাই করি সব বাংলায় ...!!!

মাঝে মাঝে ভাবি কি লিখব । আমি তো কিছুই জানিনা । কিছুই ভেবে পাইনা । আবার যখন লিখতে বসি টানা লিখতে পারিনা । মানুষের মন আসলেই বিক্ষিপ্ত । মনযোগ ধরে রাখা কষ্টকর( যদিও আমি কখনোই খুব মনযোগী ছিলাম না...!!!) । তারপরও লিখতে বসি । লিখি । কেন লিখি ?? ব্লগিং করব তাই । আর কোন কারন নেই । কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন আমার ব্যাক্তিগত ব্লগের  নাম স্বপ্নব্লগ কেন ?? হ্যা এতা একটা ভাল প্রশ্ন । যেহেতু এটা আমার ব্যাক্তিগত ব্লগ তাই ইচ্ছে করলেই আমি এটা অনেক রকম নাম দিতে পারতাম । আমার ব্লগ, আমার কথা ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু স্বপ্নব্লগ কেন দিলাম ?? কারন আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি । কল্পনা করতে ভালবাসি । ড : ইউনূস বলেন মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় । হায় ড : ইউনূস যে নিজেকে স্বপ্নেরও ঊর্ধে নিয়ে গেছেন । এই স্বপ্ন কিন্তু ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্ন না । এটা বাস্তবতার স্বপ্ন । বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন । দেশকে বদলে দেবার স্বপ্ন । কত সুন্দরই না আমাদের দেশ । এত এত সমস্যা থাকা সত্তেও কত সুন্দর করেইনা আমরা টিকে আছি । টিকে আছি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষের দেশ হিসেবে । তাহলে এই সমস্যাগুলো যদি না থাকতো  আরও কতইনা ভাল হত । আহা

আমার খুব গর্ব হয় যে আমি বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছি । এত সুন্দর এত সমৃদ্ধ ইতিহাস আর কোন দেশের আছে কিনা জানা নেই । যুদ্ধের সিনেমা দেখতে আমরা হলিউডের সিনেমা খোঁজ করি । কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কি সিনেমার চেয়ে কোন অংশে কম ? মোটেই না । আর কোন দেশ কি এমন সম্মুখ যুদ্ধ করে ঘোষনা দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করছে ? আমার জানা নেই । কতটা রোমাঞ্চকর আমাদের ইতিহাস । কিন্তু হায় আমাদের ইতিহাস কি কম কষ্টের ?? ৭১ এ দেশের মানুষ যখন মুক্তি প্রত্যাশায় যুদ্ধরত তখন দেশেরই কিছু মানুষ স্বাধীনতার বিরোধীতা করল...!!! মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে বের করে হত্যা করা শুরু করল । রেহাই পেলনা শিশু এমনকি নারীরাও । যে নারী নাকি মায়ের জাত সেই নারীকেই ওরা হিংস্র হায়েনার মত ছিড়ে খুড়ে খেল...!!! ধিক তাদের , শত ধিক । আর দেশকে পঙ্গু করতে হত্যা করল দেশের বুদ্ধিজীবিদের । সেই হায়েনাদের কিন্তু আজও বিচার হয়নি । আজও তারা বীর দর্পে  ঘুরে বেড়ায় বাংলার মাটিতে । ঊদ্ধত কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে । আর ভাবি কবে হবে এই হায়েনাদের বিচার । আমি আশাবাদী । ওই যে বললাম স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি । আমার স্বপ্ন রাজার মুক্ত সুখী একটা দেশ । আর এই দেশকে গড়তে হবে আমাদেরকেই । আমাদের তরুণদেরকেই ।

আজ এই পর্যন্তই । সামনে আরও নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে । সেই পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ । ভাল থাকবেন । শুভ রাত্রি

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | coupon codes