লেবেল

নিজেকে এখনও গুছিয়ে নিতে পারিনি

১১ অক্টোবর, ২০১১

আমার পর্ণবেলা , কঠিনভাবে ১৮+ ।

পোস্টের শুরুতেই কিছু কথা বলে নেয়া ভাল । অবশ্যই এটা একটা ১৮ পোস্ট । এবং এই পোস্টে যা আছে তা একটা বয়সে সবার ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে । সো ব্যাপারটা কেউ অন্যভাবে নেবেন না

"
"
"
"
"

১ম অভিজ্ঞতা , ছোট পর্ণ কার্ড দেখাঃ এখনও মনে আছে । সেই ক্লাশ সেভেনের কথা । তখন বন্ধুদের কাছে ছেলে মেয়ে সম্পর্ক নিয়ে কিছু কিছু শুনি । কিন্তু যাই শুনি কিছুই বিশ্বাস করতাম না । আমার মনে হত নাহ এটা হতেই পারে না । মানুষ এত খারাপ হতেই পারেনা । আর বন্ধুরা খেপে যেত এই কথা শুনে । ওরা আমাকে বিশ্বাস করিয়েই ছাড়বে । যেই ভাবা সেই কাজ । পরদিন এক বন্ধু(আমাদের ক্লাশের সবচেয়ে দূরন্ত ও দুষ্ট ছেলে) নিয়ে এল মোক্ষম সেই জিনিস । গুণে গুণে তিনটা কার্ড । আমরা সবাই কিছুটা উত্তেজিত । কখন দেখব কখন দেখব । আমাদের আর তর সইছে না । ৪৫মিনিটের ক্লাশ যেন আর শেষ হতেই চায় না । ক্লাশেও কারও মন বসে না । সবার তখন একটাই চিন্তা কি থাকবে ওই কার্ডে । অবশেষে এল সেই মোক্ষম সময় । ক্লাশের পেছনের বেঞ্চে গিয়ে সবাই বসলাম । এবং ভাগ্য আমাদের এতই ভাল এই ক্লাশটা অফ । স্যার আসেনি । ছাত্ররা যেন গ্যাঞ্জাম না করে এই জন্য ক্লাশ ক্যাপ্টেন সামনে দাঁড়িয়ে নাম লিখতে শুরু করল । কিন্তু কিসের কি । আমরা তখন কার্ড দেখার চিন্তায় বিভোর । এরপর তন্ময় বের করল সেই জিনিস । আরে জিনিসও একখান । আগে কখনওই দেখি নাই । বাপরে সে কি স্ট্যাইল । ৭ জন পোলাপান আমরা তিনটা কার্ড । টানাটানি হুড়োহুড়ি । তবুও দেখার স্বাদ মেটেনা । এদিকে ক্লাশে এমন গ্যাদারিং দেখে ক্লাশ ক্যাপ্টেন অনিক এগিয়ে ঘটনা কি দেখতে । অতি ভদ্র অনিক কার্ড দেখে দুই হাতে মুখে দিয়ে বলে উঠল " হায় আল্লাহ তোমরা এইসব কি দেখ "

ভয়াবহতম দ্বিতীয় ঘটনাঃ তখন ক্লাশ এইটে উঠছি । যাকে বলে পুরোপুরি উন্মাদ আমরা । কার্ড ছাড়া চলছেই না । কয়েকবন্ধু মিলে দরকার হলে কার্ড কিনতাম , তবুও নতুন নতুন কার্ড দেখা চাইই চাই । এভাবে ২০ টার মত কার্ড জমিয়েছিলাম । ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ দেখে বিছানার নিচে রেখে ঘুমাতাম । ভালই কাটছিল দিনগুলো । এরপর একদিন আব্বু আমাকে বলল " তোষক উঠিয়ে ছাদে যাওয়ার সময় তোমার বিছানায় কিছু কার্ড পেয়েছিলাম , আমি সেগুলো ফেলে দিয়েছি , খুজে খুজে আবার হয়রান হইয়ো না "

কার্ড নিয়ে বিচ্চিন্ন কয়েকটা মজার ঘটনাঃ তখনও কার্ডই আমাদের কাছে সেরা পর্ণ । যার কাছেই একটা কার্ড আছে সেই মুটামুটি সকলের কাছে কাংখিত মানুষ । কিন্তু এভাবে সকলের কাছে চেয়ে চেয়ে দেখতে আর ভাল লাগছে না । এবার আমার এক বন্ধু প্ল্যান করল ও নিজেই কয়েকটা কার্ড কিনবে । আর পুরো শহরে বুড়ো চাচার দোকান ছাড়া আর কোথাও কার্ড পাওয়া যায় কিনা কেউই জানি না । তো একদিন স্কুল ছুটির পর আমি আর আমার বন্ধু গেলাম সেই দোকানে । একটা সিনেমা হলের পাশেই ছিল দোকানটা । আর ওইসময়ের সিনেমার কথা কি বলব । এক টিকিটে দুই মুভি । তাই ওই এলাকায় গেলেই কিছুটা ভয় লাগত । কেউ যদি দেখে ফেলে । বুকটা দুরু দুরু করছে । দুরু দুরু বুক নিয়ে ঢুকলাম দোকানে । হাতে নিয়ে কার্ড পছন্দ করছি(আসলে দেখতেছি , সবগুলো তো কেনা সম্ভব না) । হঠাত স্কুল পুড়ুয়া আমাদের বয়সি দুইটা মেয়ে এল । ইস লজ্জায় আমরা শেষ । যাই হোক মেয়ে দুটো দোকানে ঢোকার পর বুড়ো চাচা আমাদের বেরিয়ে যেতে বললেন । রাগ যা লেগেছিল না । শালা মেয়েদের এখনও লুল হয়ে যায় । আমরা দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি । মেয়ে দুটো কার্ড দেখছে । হঠাত একটা মেয়ে বলে উঠল "দেখ এই মেয়েটা বুবস আমারটা থেকে কয়েকগুণ বড় হবে , বলেই খিল খিল হাসি "


আরেকদিনের ঘটনা । এবার পরীক্ষার হলে । পরীক্ষার দিন আমাদের পাশে ক্লাশ নাইনের সিট পরেছে । বড় ভাইরা পরীক্ষা দিচ্ছে । হঠাত আমাদের স্কুলের সবচেয়ে লুল মার্কা স্যার সাইদুর স্যারের চোখ পড়ল এক বড় ভাইয়ের মানিব্যাগের দিকে । ব্যাগটা ফুলে প্রায় ঢোল । স্যার ব্যাগটা চেয়ে নিজের কাছে নিয়ে আপন মনে সব কাজ টাকা বের করে দেখতে লাগল । এর মধ্যে বেড়িয়ে পড়ল সেই জিনিস । স্যারের চোখ তো আর সরে না । গুণে গুণে ৫২ টা কার্ড স্যার অনেক সময় নিয়ে দেখলেন আর হাসলেন । বড় ভাই তো লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে । বেচারা কিছু লিখতেও পারছে না । অবশ্য স্যার ভাল মত কার্ডগুলো ব্যাগে ভরে আবার ফেরত দিল । আর দেয়ার সময় বলল " এত বড় হইছছ এখনও কার্ড দেখস কেন "



এটাও আমাদের ক্লাশরুমের ঘটনা । আমরা ছিলাম মর্নিং শিফট । তাই ডে শফটের ছাত্রদের অনেক কর্মকান্ডই আমাদের ক্লাশে থেকে যেত । প্রতিদিনের মত সেদিনই যথারীতি বসেছি ক্লাশের মাঝখানের বেঞ্চে । বন্ধু মামুন হঠাত করেই বেঞ্চের নিচে পেয়ে গেল একটা কার্ড । সবাই সেটা দেখার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করল । কার্ড ঘুরতে লাগল এক হাত থেকে আরেক হাতে । কিন্তু সবচেয়ে দূর্ভাগা ছিল সজীব । বেচারা যেই কার্ড হাতে নিয়ে দেখতে লাগল । হঠাত স্যারের হুঙ্কার । তোর হাতে কি ? পড়বি তো একেবারে মালির হাতে । স্যার ছিলেন আমাদের আরবী স্যার । কার্ডটা হাতে নিয়েই স্যারের হুঙ্কার "নালায়েক , জানোয়ার ক্লাশের মধ্যে এসব কি " বলেই পেটাতে লাগল বেচারাকে


পরের অংশ আগামীকাল । শুভ রাত্রি

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | coupon codes