লেবেল

নিজেকে এখনও গুছিয়ে নিতে পারিনি

১৫ জুন, ২০১১

একজন নির্যাতিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা রুমানা মনজুর এবং আমরা .....

কালকের প্রথম আলোতে পারিবারিক নির্যাতনের ভয়াবহ রূপ শিরোনামের লেখাটা নিশ্চয় পড়েছেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা রুমানা মনজুর কে কিভাবে তার পাষন্ড স্বামী নির্যাতন করেছেন । যিনি এখন ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি ও তার মেয়ে আনুশা । রুমানা মনজুরের ভাষায় " কক্ষে ঢুকেই পেছন থেকে হামলা চালায় ও। চুলের মুঠি ধরে দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। কামড়ে নাক-মুখ ক্ষত-বিক্ষত করে। রক্তে পুরো শরীর ভরে যায়। একপর্যায়ে মেঝেতে পিছলে পড়ি নিজের রক্তের ওপর  " ।


ডাক্তারের ভাষ্যমতে, রুমানা মনজুরের বাঁ চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ডান চোখে দেখতে পারবে কি না, তা-ও অনিশ্চিত।’


রুমানা মনজুরের স্বামী হাছান সাইদ বুয়েট থেকে পাশ করা একজন ইঞ্জিনিয়ার । ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া একজন ছাত্র হিসেবে নিজেকে ছোট মনে করেছিলাম । মনে করেছিলাম আমরা কি এই শিখছি ?? ভাবতে কষ্ট হয় কিভাবে একজন শিক্ষিত মানুষ নিজের স্ত্রীর উপর এমন পাশবিক নির্যাতন করতে পারে । অবশ্য সে যদি আসলেই মানুষরূপী জানোয়ার না হয়ে থাকেন । প্রথম আলোতে কয়েকজন পাঠকের মন্তব্য দেখুন


Abdullah al-mamun. রংপুর
১. সমাজের একজন প্রতিষ্টিত নারীর যদি এই দশা হয় তবে সাধারন নারীদের অবস্থা কেমন যাচ্ছে একটু ভাবুন।


Prabir Paul
২. সাইদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পাস করা প্রকৌশলী! সাবাস ! লেখা পড়া করে অনেক উচু ধরনের মানুহুস হয়েছে সাইদ। এমন অমানুষ হয়েছে যে তাকে গহিন বনে নিয়ে রাখলে হিংস্র পশুরা বন্ধু ভাববে । থু দেই এই শিক্ষার কপালে । এটা নি:সনদেহে আমাদের অসুস্থ্য সমাজের পরিস্কার চিত্র ।


Sajid
৩. এই বিষয়ে কি মন্তব্য করবো তার ভাষা সত্যিই আমার জানা নাই। আমি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে উচ্চশিক্ষার্থে দেশের বাইরে আছি। কাজ না থাকলে মানুষের মাথা যে শয়তানের মাথা হয় এই কলাম এর "হাসান সাইদ" বিষয়ে আমার এখন এটাই শুধু মনে হচ্ছে। নারকিয়, পাশবিক , জঘন্য......।।


desh premik
৪. অমানবিক, ভয়ংকর! এমন পাষন্ড আর কুতসিত স্বভাবের মানুষ যে দেশে আছে সেটা মাঝে মাঝেই এসব খবরের মাধ্যমে জানা যায়। শিক্ষিত নামের কুশিক্ষিত এবং জঘন্য স্বভাবের মানুষ এমন কাজ করতে পারে, সেটা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। অথচ, আমাদের সমাজেই লুকিয়ে আছে এমন হাজারো জঘন্য চরিত্রের মানুষ। আমরা রুমানার জন্য দোয়া করতে পারি আর পাষন্ড হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি


Banglar Gaan
৫. এই ভদ্রলোক কে একটি খাঁচায় ভরে বাকি জীবনটা সুন্দরবনে রেখে আসা উচিৎ হবে, এবং খাঁচায় লিখে দিতে হবে "বন্যেরা বনে সুন্দর"।


shamim
৬. আমরা আজ কোন দেশে বাস করছি? আমাদের মন মানসিকতা এমন কেন? আমরা কি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন শিক্ষাই রেখে যাব? সাইদ এর পরিবারের এরকম কিছু ঘটলে ওকি এটা মেনে নিতে পারত? সাইদের শাস্তি জনসম্মুখে হওা উচিৎ । তাহলে এরকম ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস আর কেও পাবেনা। দোয়া করি রোমানা যেন খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠে।


রুমানার পাশে আজ দাড়িয়েছে তার সহপাঠীরা , তার ছাত্র ছাত্রীরা সহ সমাজের সকল বিবেকবান মানুষ । ফেছুবুকে গ্রুপ খোলার মাধ্যমে তার বন্ধুরা আন্দোলন গড়ে তুলছে এই পাশবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে । আপনারাও শরীক হোন । চলুন ধিক্কার জানাই মানুষরূপী জানোয়ার হাছান সাইদকে । সমাজে আন্দোলন গড়ে তুলি আর যেন কোন নারী কোন শিক্ষিকাকে এমন ভাবে নির্যাতিত হতে না হয় । কারণ এরাই কিন্তু আমাদের কারও না কারও মা , কারও না কারও বোন আর কারও না কারও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ।

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | coupon codes